ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার বার্ড ফ্লু নিয়ে হাই এর জারি করেছে একাধিক রাজ্যে। কর্ণাটক দিল্লি গুজরাট রাজস্থান সহ ৯ রাজ্যে ইতিমধ্যেই শনাক্ত হয়েছে বার্ড-ফ্লু। হাজারের উপরে মারা গেছে মুরগি ময়ূর কাক সহ অন্যান্য পাখি। বার্ড ফ্লু আতঙ্কে কাঁদছে বাংলার পড়শী রাজ্য ঝাড়খন্ড। পাখির আকস্মিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে হিমাচল প্রদেশ ও।এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলাতেও ছড়ালো বার্ড ফ্লু আতঙ্ক।
জানা যাচ্ছে, সোমবার দুর্গাপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আশিষ মার্কেট এলাকায় এদিন সকালে অনেকগুলি হাঁস মুরগি কে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর সেই দৃশ্য দেখে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। যথারীতি খবর দেয় পুলিশ এ। কিন্তু অভিযোগের আঙুল উঠেছে পুলিশের দিকে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষার পরেও পুলিশ আসেনি। মহকুমা শাসক জানান, এখনই আতঙ্কে কিছু নেই। মৃত হাঁস-মুরগি নমুনা পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষার জন্য।
তবে এই ঘটনা বাংলায় প্রথম নয়, দিন কয়েক আগেই আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট এর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন অশ্বিনীনগর, হাই স্কুল পাড়া, রবীন্দ্র কলোনিতে বেশকিছু বুনো পায়রার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ২৭ শে ডিসেম্বরো মাতারি হাটের ওই নির্দিষ্ট এলাকাগুলি থেকে পায়রার বেশ কয়েকটি দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পায়রা গুলো কি উদ্ধার করে সেগুলো ময়নাতদন্তে পাঠায় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ।
কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে চর্চায় বার্ড ফ্লু। দেশে চা রাজ্য কেরালা, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে বেশ কয়েক দিনে বার্ড ফ্লুতে মৃত্যু হয়েছে কয়েক লক্ষ পাখি। সবথেকে বড় ব্যাপার দেশে বাটল নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পূর্বস্থলীয় চুপির পাখিরালয়ের জলাশয় মৃত পাখির হদিস মিলেছে গত শনিবার।মৃত পাখিদের প্রথম নাজিল করেন এক স্থানীয় গার্ড এবং এক পর্যটক।
বিশিষ্ট পরিবেশপ্রেমী সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'দেশের বেশ কিছু রাজ্যে বার্ড ফ্লু আতঙ্ক ছড়িয়েছে।এই অবস্থায় জলদাপাড়া লাগোয়া এলাকায় বুনো পায়রা, পূর্বস্থলীতে পাখি,দুর্গাপুরে হাঁস-মুরগির মৃত্যুর কারণ অবশ্য গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা উচিত পর বনকর্তাদের। যদি সত্যি কারের বার্ড ফ্লু এর কারণে মৃত্যু হয়ে থাকে তবে বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের।'সংক্রমণ রুখতে কেরালার বেশ কিছু অঞ্চলে হাঁস-মুরগির কাজ শুরু করা হয়েছে। সংক্রমণ মুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে পুরোদমে। প্রায় ১.৬০ লক্ষ্য পাখি নিধন করবে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানা সরকার।দিল্লিতে গত কয়েক দিনে বহু কাকের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে নমুনা। তাছাড়াও বন্ধ করা হয়েছে রাজ্যের সব থেকে বড় পোল্ট্রি মার্কেট।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন